বুড়িগঙ্গায় মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ
নিখোঁজের দুদিন পর নুরুল আমিন মন্টু (৪৭) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সোয়ারীঘাট বরাবর মাঝ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, নুরুল আমিনের বাসা ঢাকা দক্ষিণ সিটির ফরিদাবাদ আরশিন গেট এলাকায়। কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জে হাজী মজিবর রহমান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় নিউ এনএইচ কম্পিউটার এমব্রয়ডারি নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন নুরুল আমিন।
নিহতের স্ত্রী নীলিমা আমিন পপি জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোবাইলে নুরুল আমিনের সঙ্গে তার কথা হয়। তখন নুরুল আমিন জানান দোকান থেকে বেরিয়েছে, বাসায় আসছে। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
নুরুল আমিনের বড় ছেলে আমিরুল ইসলাম জানান, বাবার নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু পরদিন বাবার লাশ পেলেন।
তিনি আরও জানান, নুরুল আমিন পার্শ্ববর্তী দীপু গার্মেন্টসের মালিক রতনের কাছে ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা পান। সেই টাকার জন্য নিখোঁজের ১০ দিন আগে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
নুরুল আমিন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রতন তার দোকানে আসছেন না। এমনকি তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় রতনের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাজী মজিবর রহমানের ভায়রার ছেলে নিহত নুরুল আমিন। লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি।
পরে সাংবাদিকদের হাজী মজিবর রহমান বলেন, নুরুল আমিন একজন নিরীহ মানুষ। কিভাবে কি হয়েছে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, লাশের মাথা কোমরসহ বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো কিসের আঘাত তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের যে কার্যক্রম সেটা আমরা শুরু করে দিয়েছি।