সিলেট ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সুপারিশের পরও বিদ্যুতবিহীন রয়েছে উপজেলার ২১টি পরিবার। উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের মাঝে বিদ্যুতবঞ্চিত থাকা এ ২১টি পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে তাদের বিদ্যুতবঞ্চিত রাখা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় লোকমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সুপারিশসহ সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বরাবরে আবেদন করে এই ২১টি পরিবার।
পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃদুল ড্রাইভারের বাড়ীর পোল (খুঁটি) হইতে আলুবাগান যদু বস্তি পর্যন্ত স্ট্যাকিং ম্যাপ তৈরি করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের অনুমোদন করে। এরই প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৮ অক্টোবর গ্রামের পূর্ব দিক শীল বস্তি হতে ৮টি পোল (খুঁটি) স্থাপন করা হয়।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান চৌধুরীর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকারী ঠিকাদারকে বাধা দেয়া ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ২১ পরিবারের।
পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের সুপারিশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পুনরায় আবেদন করে ২১ পরিবারের সদস্যরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের স্মারক নং ০৫.৬০.৯১৫৩.০০৩.০৬৬.০৯-১৪৯৩, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেনারেল ম্যানেজার সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ দরবস্ত জৈন্তাপুরকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালীদের বাঁধার কারণে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সরেজমিন তদন্ত পূর্বক কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ২১ পরিবারের।
এ ব্যাপারে লোকমান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, শীল বস্তিতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণে আমাদের কোন বাঁধা নেই। তারা ইতোপূর্বে স্কুলের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে এলোপাথাড়ি বাড়িঘর নির্মাণ করে বস্তি স্থাপন করেছে। তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে তাহলে আমাদের কোন বাঁধা থাকবে না।
তবে বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের সদস্য রেহানা বেগম বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি আমাদের জায়গা জমির কাগজ পত্র সঠিক আছে। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। এখানে বিদ্যালয়ের কোন জায়গা নেই। সরকার বিদ্যালয়কে যে জায়গা লীজ দিয়েছে সেই জায়গায় বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের দোহাই নিয়ে লোকমান চৌধুরী আমাদের বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করতে চায়।
এ বিষয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আবু সাইদ তালুকদার ও ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ আবু রায়হান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।