বগুড়া শাজাহানপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত তিন শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে থানায় ধরে এনে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কাটাবাড়িয়া এলাকায় জেনারেটর মেশিনের অফিস কক্ষ থেকে তাদের আটক এবং পরদিন শুক্রবার দুপুরে ছেড়ে দেয়া হয়।
গ্রামে ইসলামী জলসার কারণে বাড়িতে অতিথি থাকায় তারা ওই অফিস কক্ষে ঘুমাতে এসেছিলেন। রোববার বিষয়টি জানাজানি হলে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত শাজাহানপুর থানার এসআই লাল মিয়া তাদের আটক ও ছেড়ে দেবার বিনিময়ে ১১ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আটকের পর যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তারা হলেন- বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কাটাবাড়িয়া গ্রামের জাকারিয়া, সহপাঠী একই এলাকার সাগর, টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শিহাব, রাজ মিস্ত্রি মজনু মিয়া ও একই পেশার রবিউল।
কলেজছাত্র জাকারিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের মসজিদে ইসলামী জলসা ছিল। বাড়িতে অতিথি থাকায় তারা কয়েকজন এলাকার রেজাউলের জেনারেটর মেশিনের অফিস কক্ষে ঘুমাতে যান। তার সঙ্গে সহপাঠী সাগর, শিহাব, পাড়ার বন্ধু রবিউল এবং মজনু ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের চিৎকারে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জাকারিয়া অভিযোগ করেন, খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শাজাহানপুর থানায় এলে এসআই লাল মিয়া তাদের কাছে প্রথমে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এরপর ৫ হাজার টাকা কমিয়ে ২০ হাজার টাকা আনতে বলেন। এদের মধ্যে একজনের অভিভাবক রাতেই ৩ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। অন্যরা রাতে টাকা দিতে না পারায় তাদের রাতে আটক রাখা হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে আরও ৮ হাজার টাকা দিয়ে অন্যদের ছাড়িয়ে আনা হয়।
এ প্রসঙ্গে এসআই মাসুদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এসআই লাল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তারা কয়েকজন কর্মকর্তা কাটাবাড়িয়া গ্রামের ইসলামী জলসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। কাউকে আটক বা থানায় এনে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেবার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।